আজ আমরা জানবো ট্রানজিস্টর কি কাকে বলে কিভাবে কাজ করে এ বিষয়ে বেসিক একটা ধারণা। কারণ হবি প্রজেক্ট এবং ইলেকট্রনিক্স রিপেয়ারিং ও সার্ভিসিং করতে ট্রানজিস্টর সম্পর্কে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমরা ট্রানজিস্টার সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানবো অন্য একটা আর্টিকেলে। আজ শুধু ট্রানজিস্টরের কিছু বেসিক ধারণা নিবো। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনেনি ট্রানজিস্টর কি কাকে বলে এটা কিভাবে কাজ করে।
সূচীপত্র
ট্রানজিস্টর কি :
বিজ্ঞানের সব থেকে বড় আবিস্কার বলা যায় ট্রানজিস্টর ডিভাইস। কারণ ট্রানজিস্টর আবিস্কারের পর ইলেকট্রনিক্স এর বিপ্লব ঘটে। Transistor শব্দাটি Trans এবং Resistor শব্দটির istor শব্দ দুটি যোগ করে ডিভাইসটির নাম ট্রানজিস্টর রাখা হয়েছে। ট্রানজিস্টর হলো এক প্রকার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যার ইনপুটে কোন ইলেকট্রিক্যাল সংকেত দিলে আউটপুটে ঐ সংকেত বর্ধিত আকারে পাওয়া যায়। যার গঠনপ্রণালী রেজিস্টরের মতো।
ট্রানজিস্টর কাকে বলে :
ইলেকট্রনিক্সের যে ডিভাইসে বিদ্যুৎ প্রবাহ করলে তার আউটপুটে সেই প্রবাহ বর্ধিত আকারে পাওয়া যায় তাকে ট্রানজিস্টর বলে। ট্রানজিস্টর হলো এমন এক প্রকার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যার ইনপুটে কোন ইলেকট্রিক্যাল সংকেত দিলে আউটপুটে ঐ সংকেত বর্ধিত আকারে পাওয়া যায়। এর কাজ হলো ইলেকট্রনিক্স সার্কিটের যেকোন লো সিগন্যালকে বর্ধিত করে সার্কিটে প্রবাহ করা। আবার সার্কিটে সুইচ হিসাবে কাজ করার জন্য ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয়। বর্তমানের বিভিন্ন মাক্রো চিপে হাজার হাজার ট্রানজিস্টার ব্যবহার করে তৈরী করা হয়।
ট্রানজিস্টর কত প্রকার :
ইলেকট্রনিক্স ট্রানজিস্টর প্রথমত দুই প্রকার যথা-
- পি-এন-পি ট্রানজিস্টর (পজেটিভ-নেগেটিভ-পজেটিভ)
চিত্র: পি-এন-পি ট্রানজিস্টর
- এন-পি-এন ট্রানজিস্টর (নেগেটিভ-পজেটিভ-নেগেটিভ)
চিত্র: এন-পি-এন ট্রানজিস্টর
উপরের চিত্র গুলো ভালো ভাবে দেখলে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ট্রানজিস্টরের পা গুলোকে যথা- সংযোগ গুলোকে তাদের ইনপুট আউটপুটের কাজের উপর ভিত্তি করে তিনটা নামে সার্কিটে ব্যবহার করা হয়েছে কারণ ট্রানজিস্টর এই তিন ভাবে কাজ করে যথা-
- ইমিটার (Emitter)
- কালেক্টর (Collector)
- বেইজ (Base)
ট্রানজিস্টরের গঠন ও প্রকৃতি :
ইলেকট্রনিক্স ট্রানজিস্টর এর গঠন বলতে গেলে দুইটা ডায়োড কে এক সাথে করে ট্রানজিস্টর তৈরী করা হয়ে থাকে। যেমন- আপনারা জানেন ডায়োড এর পি-এন প্রান্ত থাকে, তার সাথে আরেকটি পি যোগ করলে পি-এন-পি ট্রানজিস্টর হয়ে যাবে। এট মাত্র একটা প্রাথমিক ধারণা ছাড়া আর কিছু না। বর্তমানে এভাবে ট্রানজিস্টর তৈরী করা হয়না। আরো এডভান্স ভাবে ট্রানজিস্টর তৈরী করা হয়।
ট্রানজিস্টর এর কাজ:
ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ট্রানজিস্টার দুই ভাবে কাজ করে যথা- শক্তি বর্ধক এবং সুইচিং হিসাবে ট্রানজিস্টর কাজ করে। অ্যামপ্লিফায়ার ও অ্যামপ্লিফিকেশন করার জন্য ট্রানজিস্টার ব্যবহার করা হয়। সার্কিটের ভোল্টেজ এবং লো সিগন্যালকে বর্ধিত করার জন্য ট্রানজিস্টর ব্যবহার করা হয় এবং সার্কিটের ভেল্টেজ প্রবাহের সময় কোথায় কোন ভোল্টেজ আটকাতে হবে, কোথায় ছাড়তে হবে, ট্রানজিস্টর ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে এভাবে সুইচ হিসাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
অ্যামপ্লিফায়ার ও অ্যামপ্লিফিকেশন জানুন
ট্রানজিস্টর সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন
কয়েক প্রকার স্পেশাল ট্রানজিস্টর :
- ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টার (Field Effect Transistor)
- ইউনি জাংশন ট্রানজিস্টর (Uni Junction Transistor)
- সিলিকন কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার (Silicon Control Rectifier)
ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টার, ইউনি জাংশন ট্রানজিস্টর, সিলিকন কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার এগুলো হাই লেভেলের ট্রানজিস্টর এগুলো সম্পর্কে আলাদা আলাদা আর্টিকেলে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো। কারণ এগুলো হলো এডভান্স বড় ধরণের সার্কিটে ব্যবহার করা হয়। আর যদি আপনাদের এগুলো সম্পর্কে জানার আগ্রহ থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করুন। তাহলে খুব তাড়া-তাড়ি ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টার, ইউনি জাংশন ট্রানজিস্টর সিলিকন কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার ট্রানজিস্টর নিয়ে তিনটা আর্টিকেল পাবলিশ করে দিবো।
ফিল্ড ইফেক্ট ট্রানজিস্টার কি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সিলিকন কন্ট্রোল রেক্টিফায়ার কি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
ইউনি জাংশন ট্রানজিস্টর কি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
বর্ধিত আকারে বা বর্ধিত করে আর শক্তি বর্ধক মানে টা কি, সেটা বুঝতে পারলাম না স্যার। যদি একটু এর মানে টা বুঝিয়ে বললে ভালো হতো স্যার।
বর্ধিত মানে বাড়ানো, বেশি করা, শক্তি বর্ধক মানে যে পাওয়ার বা অ্যাম্প বা ইলেকট্রিক লো সিগন্যালকে কম থেকে বেশি করে আউটপুট করে।