আজ আমরা পিসি কম্পিউটার সার্ভিসিং এর সহজ এগার টা উপায় জানবো। যেগুলো ফলো করে আপনার পিসিটি সহজে এবং সুরক্ষিত ভাবে সার্ভিসিং করে নিতে পারেন। পিসি সার্ভিসিং করার নিয়ম গুলো যদি আপনি জেনে থাকেন তাহলে মাঝে মাঝে আপনার পিসি কম্পিউটার টি নিজে নিজে খুলে সার্ভিসিং করতে পারবেন। যার ফলে আপনার পিসির লাইফ টাইম এবং পার্ফামেন্স অনেক বাড়বে। তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন নিরাপদ পিসি সার্ভিসিং করার নিয়ম গুলো জেনে নি।
কম্পিউটার এর আমাদের যে সমস্যাতে পড়তে হয় তাহলো- অনেক দিন পিসি চালানোর পরে দেখা যায় যে পিসির মধ্যে অনেক ধুলা ময়লা জমে সব ফ্যানগুলো জ্যাম হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে য়ায়। ফলে অতিরিক্ত হিটের কারণে পিসিতে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় সে সমস্যা গুলো বেশির ভাগ সময় পিসি সার্ভিসিং করার পর ঠিক হয়ে যায় এবং পিসির লাইফ টাইম অনেক বেড়ে যায়। পিসি সার্ভিসিং এর নিরাপদ সহজ নিয়ম গুলো হলো :
সর্তকতার সাথে পিসি খোলা :
পিসি সার্ভিসিং করতে হলে আপনাকে প্রথম সর্তকতার সাথে পিসির সব কানেকশন যেমন- মনিটর, কিবোর্ড, মাউস, পাওয়ার সাউন্ড বক্স লাইন গুলো খুলে আলাদা করে নিতে হবে। মনে রাখবেন ধিরে কাজ করবেন তাড়া-হুড়া করবেন না তাড়া-হুড়া করতে গিয়ে অন্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে সুতরাং সাবধাণতার মার নাই সাবধান হয়ে কাজ শুরু করুন।
পিসি পরিস্কার করার নিয়ম :
মনিটর থেকে পিসি আলাদা করে নেওয়ার পর পিসি পরিস্কার করতে হবে। পিসি পরিস্কার করার জন্য ব্লাওয়ার আর হালকা পেন্টিং ব্রাশ ব্যবহার করুন। তার জন্য আপনি পিসির এক সাইডের কাভার খুলন ভালো করে দেখুন কোন সাইড খোলার জন্য রাখা হয়েছে। সাধারণত পিসি সামনে দাড়িয়ে বামপাশের টা খোলার জন্য সাইট কাভার হয়। সেই কাভার টা খোলার পর বাইরে নিয়ে গিয়ে বাতাস দেওয়া মেশিন দিয়ে পরিস্কার করুন। একবার বাতাস দেওয়ার পর ব্রাশ দিয়ে টুলস গুলো হালকা করে ঘরে আবার বাতাস মেরে সব ধুলা বলি বের করে ফেলুন।
ব্লাওয়ার করার সময় পিসি সর্তকতা :
পিসিতে ব্লাওয়ার করার সময় সাবধানতার সাথে ব্লাওয়ার করুন। এমন ভাবে বাতাস দিবেন যেন পিসি থেকে কোন কিছু ভেঙ্গে না উঠে যায় বা তার কানেশন ছিড়ে না যায়, সেই দিকে খেয়াল রেখে বাতাস মারুন। দিয়ে পিসি কম্পিউটার সার্ভিসিং কমপ্লিট করুন।
ডিভাইস সংযোগ আলাদা করণ :
প্রথম বার পরিস্কার করার পর সম্ভব হলে ডিভাইস গুলোর কানেকশন আলাদা করুন। যেমন- হার্ডডিক্স, র্যাম, ডিভিডি রাইটার, ইউএসবি কানেকশ কুলিং ফ্যান প্রসেসর ইত্যাদি তারপর ব্রাশ দিয়ে ভালো ভাবে পরিস্কার করে আবার লাগিয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে আপনাকে ইউ এস বি কানেশন মনে রাখতে হবে। যদি মনে রাখতে না পারেন তাহলে সেটিং করতে পারবেন না। ডিভাইস কানেকশন আলাদা করে আবার লাগালে- কোন সংযোগ লুজের কারণে সমস্যা হলে তা ঠিক হয়ে যায়।
ডিভাইস কানেকশন মার্কিং করা :
পিসির সব ডিভাইস সংযোগ আলাদা করার আগে অবশ্যই একটা মার্কার পেন দিয়ে মার্কিং করে রাখন। সাধারণত প্রয়োজন পড়ে না তারপরে নতুন হিসাবে আপনি মার্কিং করে রাখুন যদি কানেকশন গুলো ভূলে যান তাহলে মার্কিং দেখে দেখে আবার লাগিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কানেকশন উলট-পালট হয় না, কারণ উলট-পালট সেট হয় না। কিন্তু ইউএসবি এবং সামনে এলইডি কানেকশন গুলো খোলার পর তারগুলো একটা একটা হয়ে যায়, সেজন্য সেখানে খুব সাধানতা অবলম্বন করুন।
ডিভাইস কানেকশন পরিক্ষা :
পিসি সেটিং করার পর পাওয়ার দেওয়া আগে, অবশ্যই ভালো ভাবে প্রতিটা ডিভাইস ঠিক ভাবে কানেক্ট করা হয়েছে কি-না সেটা আরেক বার দেখে নিন। তারপর পিসি স্টার্ট করতে পারেন। কোন ডিভাইস সংযোগ বা র্যাম ঠিক মত মাদাবোর্ডের সাথে সংযুক্ত না হলে পিসি অন হবে না।
পিসির পার্টস পরিক্ষা করা :
আপনার পিসি যদি কোন সমস্যার জন্য সার্ভিসিং করে থাকেন- তাহলে পিসি পরিস্কারের পর আপনাকে ডিভাইস গুলো পরিক্ষা করতে হবে। সমস্যাটা কোথায় হয়েছে তা খুজে বের করতে হবে। তারপর সেটা পরিবর্তন করে দেখতে হবে, যে চলছে কি-না। যদি কোনটা সমস্যা বুঝতে পারেন সেটা পরিবর্তন করুন। মেরামত করে লাগানোর চিন্তা করবেন না। কারণ এসব জিনিস একবার সমস্যা হলো বার বার সমস্যা হতেই থাকবে।
পাটর্স কানেকশন পরিক্ষা :
প্রতিটা পার্টস এর কানেকশন ভালোভাবে পরিক্ষা করে সমস্যা খুজে বের করার চেষ্ট করুন দরকার হলে ইউটিউব ভিডিও দেখে সমস্যা সনাক্ত করার উপায় গুলো জানুন অথবা আমাকে কমেন্ট করুন।
প্রসেসর সেটিং করার নিয়ম :
প্রতিটা ডিভাইস কানেশন দেখে দেখে সেটিং করতে হবে। ঠিক যেভাবে আগে সেটিং করা ছিলো সেই ভাবে। যদি প্রসেসরের সাথে থাকা কুলিং প্রেস্ত শুকিয়ে যায় তাহলে প্রসেসরের ফ্যান লাগানোর আগে অবশ্যই কুলিং প্রেস্ত দিয়ে সেটিং করতে ভূলবেন না। যদি কুলিং প্রেস্ত ব্যবহার না করেন তাহলে ওভার হিটিং এর কারণে পিসি বারবার অফ হয়ে যেতে পারে। বাজারে কুলিং প্রেস্ত 150-350/- টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। একটা সিরিজ কিনলে কয়েকটাতে ব্যবহার করা যাবে।
পিসি বায়োস সেটিং পরিক্ষা :
যদি কোন সময় কম্পিউটারের কনফিগারেশন পরিক্ষা এবং ভিতরের টুলস্ সংযোগ মাদারবোর্ডের সাথে ঠিক মত পাচ্ছে কি-না দেখার প্রয়োজন পড়ে, তাহলে পিসি সেটিং বায়োস মেনুতে প্রবেশ করে কনফিগারেশন পরিক্ষা এবং ঠিক করতে পারেন। এজন্য আপনাকে কম্পিউটার চালুর সময় Delete Or F2 বিভিন্ন কোম্পানির মাদারবোর্ডের বায়োস মেনুতে প্রবেশের নিয়ম বিভিন্ন হয়। তবে পিসি চালু করার সময় বায়োস সেটিং মেনুতে প্রবেশের নোটিফিকেশন দেয়।
উইন্ডোজ অপারেটিং সেট-আপ :
কম্পিউটার সঠিক ভাবে পিসি কম্পিউটার সার্ভিসিং করার পর যদি সম্ভব হয় তাহলে ফ্রেশ উইন্ডোজ আপরেটিং সেট-আপ করে ফেলুন। এজন্য আপনার বাড়িতে অনেক দিন পড়ে থাকা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সিডি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ অপারেটিং সিস্টেম সব সময় আপডেট হতে থাকে। এজন্য নিকটের কোন সিডির দোকান থেকে 40/- দিয়ে নতুন উইন্ডোজ সিডি কিনে উইন্ডোজ দিবেন। আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন অনুযায়ী উইন্ডোজ অপারেটিং সেটআপ করবেন।
আপনি যদি কম্পিউটার সার্ভিসিং শিখতে চান তাহলে আমার সাথে থাকুন আর নিয়মিত আমার আর্টিকেল গুলো পড়ুন। আর যদি আরও কোন বিষয়ে জানার থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করুন। লিখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
অনেক সুন্দর লিখা। আমি কম্পিউটার সার্ভিসিং এই আর্টিকেলটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লাম। অনেক সহজভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে স্বাগত আমার ওয়েবসাইটে.. ভালো লাগলে শেয়ার করুন আর সবাইকে জনিয়ে দিন।
আমার কম্পিউটার অনেকদিন বন্ধ ছিল, এখন চলছে না, কোথায় ঠিক করা যায়, জানালে উপকৃত হব।
ঠিক করার জন্য অনেক নিয়ম পাবেন এখানে। সমস্যা খুঁজে বের করে নিজেই ঠিক করে ফেলুন। অথবা কাছের কোন সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে দেখান।
টাইম ব্যাটারি একমাস না যেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সমাধান দিলে উপকৃত হবো।
সিমোস ব্যাটারী? বাজারে বিভিন্ন রকমের মাদারবোর্ডের সিমোস ব্যাটারী পাওয়া যায়। কোনটা ভালো কোনটা খারাপ বোঝায় মুসকিল। আপনি নিকটের কোন ঘড়ির দোকানে গিয়ে গ্যারান্টি নিয়ে একটা সিমোস ব্যাটারী কিনে লাগান। তারপর হয়ত আর সমস্যা হবে না। তবে মনে রাখবেন দাম বেশি হলেও গ্যারান্টি যুক্ত ব্যাটারী নিবেন।
Great info and straight to the point. I am not sure if this is in fact the best place to ask but do you folks have any ideea where to hire some professional writers? Thank you 🙂
Thank you
সব মিলিয়ে প্রাথমিক ধরণাটা ভালো আছে তবে এর পরের অংশ গুলো দিলে ভালো হয়
ধন্যবাদ। ধিরে ধিরে সব কিছু দেওয়া হবে
This is really interesting, You are a very skilled blogger. I have joined your feed and look forward to seeking more of your fantastic post. Also, I’ve shared your site in my social networks!
Thank You
ভাই পিসি অন হচ্ছে কিন্তু এনালাইজার কার্ডের কোন কোড উঠছে না এবং ডিসপ্লে ও আসতেছে না আসলে সমস্যাটা কোথায় জানাবেন কি
ডিসপ্লে সমস্যা অনেক রকম হতে পারে না দেখে বলা ঠিক না তবে বেশির ভাগ সময় র্যামের কারণে এমন হতে পারে। পিসি খুলো ভালোভাবে র্যাম মুছে পরিস্কার করে আবার লাগান। যদি ঠিক না হয় তাহলে আমাদের গ্রুপে জয়েন করে প্রশ্ন করুন।
Incredible lots of awesome facts!
Thank you
আমার পিসি অনেক সময় যখন ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে যাই তখন পিসি অপ হয়ে আবার চালু হয় কী সমস্যার কারনে হতে পারে??
আসল ব্যাপার হলো না চেক বলা সম্ভব নয় কোথায় সমস্যা হয়েছে। তবে আমার মনে হয় পিসি ওভার হিটিং সমস্যা অথবা পাওয়ার সাপ্লায়ের সমস্যা হতে পারে।
কম্পিউটার সার্ভিসিং এর জন্য কি কি মেশিন কিনতে হবে? আর কি কি যন্ত্রপাতি লাগে? আপনাকে ধন্যবাদ এমন টিপস দেওয়ার জন্য। ভাই আমি সার্ভিসিং সেন্টারে গিয়ে সার্ভিসিং শিখতে চাই, আপনার কি জানা আছে এমন সার্ভিসিং সেন্টারে পাবনাতে কোথায় পাবো।
ধন্যবাদ.. সার্ভিসিং রিলেটেড যন্ত্রপাতি নিয়ে আমি রিতিমত কয়েকটা পোস্ট দিয়েছি, আর মোবাইল সার্ভিসিং যন্ত্রপাতি দিয়ে কম্পিউটার সার্ভিসিং এর ৯০% কাজ করতে পারবেন।
পাওয়ার সুইচ চাপলে অন সিপিইউ ফ্যান চলছে আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।এইরকম চলতেছে।
1. র্যাম পরিবর্তন বা পরিস্কার করে দেখুন 2. প্রসেসর ওভার হিট হচ্ছে কি-না দেখুন 3. পাওয়ার সাপ্লাই পরিবর্তন করে দেখুন।