গুগল এ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি একটি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল দ্বারা প্রতিমাসে স্থায়ীভাবে বেশ কিছু টাকা আর্নিং করতে পারেন । আপনি যদি ক্যারিয়ার গড়ার জন্য কাজ করেন তাহলে এর মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার গড়তেও পারেন।
আর আমি আপনাকে সাহায্য করবো এ ব্যাপারে কিছু টিপস দিয়ে যদি আপনি একটু চেষ্টা করেন তাহলেই হয়ে যাবে। তো চলুন দেখা যাক কি ভাবে গুগলের মাধ্যমে আয় করা যায়।
সূচীপত্র
গুগল এ্যাডসেন্স আর্নিং :
গুগল এ্যাডসেন্স এর মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন সবাই তো ভালো একটা জবের জন্য এত বছর পড়াশোনা করে কিন্তু পড়াশোনার পড় কেউ কি নিশ্চিত? যে সে ভালো একটা জব পাবে। তাই পড়ার ফাঁকে অনলাইনে গুগলের সাথে কাজ করলে সবার মত ভালো একটা স্মার্ট আর্নিং করতে পারেন।
গুগল এ্যাডসেন্স কি? :
গুগল এ্যাডসেন্স কি? এক কথায় আপনার যদি একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকে অথবা একটা ওয়েবসাইট থাকে অথবা একটা এন্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ থাকে তাতে গুগলের মাধ্যমে যে এ্যাড শো করানো হয় তাই হলো গুগল এ্যাডসেন্স।
গুগল এডসেন্স আছে কি বোঝার উপায়:
আপনারা হয়তো দেখেছেন যে যেকোন ওয়েব সাইট এ প্রবেশ করা মাত্রই কিছু এ্যাড দেখা যায়, আবার সেই রকম ইউটিউব চ্যানেল দেখতে গেলেও এ্যাড চলে আসে, আবার মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ ওপেন করলেও এ্যাড-শো হয়। মোট কথা এগুলাই গুগলের দেয়া এ্যাড।
গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়:
গুগলের এ্যাডসেন্স পেতে হলে আপনাকে গুগলের কিছু কমিউনিটি গাইড লাইন আছে যেগুলো আপনাকে ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে। যদি আপনি গুগলের কমিউনিটি লাইন ক্রস করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন হয়ে যাবে।
এর মধ্যে গুগলের বিশেষ কিছু কমিউনিটি গাইড লাইন হলো:
১।আপনার সাইটে প্রকাশিত কোন কনটেন্ট কোন রকম কপিরাইট হওয়া চলবে না সম্পূর্ণনিজের তৈরী আর কারো সাথে একবারে হুবহু যেন না মিলে এমন কনটেন্ট হতে হবে।
২।আপনার সাইটে ট্রাফিক/ভিজিটর বেশি হওয়ার পরেই আপনি এ্যাডসেন্স একাউন্ট এর জন্য এপ্লাই করবেন। এর আগে করলে যদি আপনার সাইটএ ট্রাফিক/বা ভিজিটর না আসে তাহলে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট সাসপেন হয়ে যাবে।
৩।আরো অনেক কমিউনিটি গাইড লাইন আছে যেগুলো ভালো ভাবে জেনে নিতে হবে।
এখন প্রশ্ন: এই এ্যাডগুলো কারা দেয় এবং কিভাবে দেয়?
গুগলের এ্যাড বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুগল এ্যাডওয়ার্ডর এর মাধ্যমে গুগলকে টাকা দিয়ে প্রকাশ করে। যেই টাকার কিছু অংশ গুগল নিজে নেয় আর বাকি অংশ বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ইউটিউব, এবং অ্যাপের মালিক, যাদের সাইটে এ্যাডগুলো দেখানো হয় তাদের দেয়।
এই এ্যাডসেন্স আপনিও পেতে পারেন যদি আপনার একটা ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট, অথবা, মোবাইল অ্যাপ থাকে।
এখন প্রশ্ন: কি ভাবে পাবেন এই এ্যাডসেন্স?
আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট, অথবা মোবাইল অ্যাপ থাকে তাহলে আপনি গুগল এ্যডসেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন যার মাধ্যমে আস্তে আস্তে বেশ অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
গুগল এ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট কি?
গুগল এ্যাডসেন্স হলো যার মাধ্যমে গুগল আপনাকে সকল এ্যাডকোড ও টাকা পেমেন্ট করবে। এটি একটি গুগলের প্রডাক্ট যার দ্বারা আপনার সাইটের সকল ইনর্ফমেশন ট্রাফিক সর্ম্পকে জানতে পারবেন বিস্তারিত ভাবে।
প্রতিদিন কতজন আপনার এ্যাড দেখে কতটা ক্লিক পড়ে কত টাকা আপনার অ্যাকাউন্ট এ জমা হয় ইত্যাদি এসব বিষয়ে।
তবে গুগল এ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট দুই ধরনের হয় যথা-
১। হোস্টেড অ্যাকাউন্ট এ্যাডসেন্স:
ইউটিউব এর জন্য যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তা হলো হোস্টেড অ্যাকাউন্ট। কিন্তু এটার টাকার পরিমান কম পাওয়া যায়।
২। নন-হোস্টেড অ্যাকাউন্ট এ্যাডসেন্স:
ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ এর জন্য যে অ্যাকাউন্ট খোলা হয় তা হলো নন-হোস্টেড অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টের পাওয়ার একটু বেশি তাই টাকার পরিমাণ বেশি দেয়।
এখন প্রশ্ন হল আপনার কয়টা অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে?
মোট কথা আপনার যে কোন একটা অ্যাকাউন্ট হলেই আপনার যত গুলোসাইট আছে সব গুলোতে এ্যাডশো করাতে পারবেন। মানে একটা অ্যাকাউন্ট আপনার সব সাইটে এ্যাড শো করাতে পারবেন।
অ্যাকাউন্টটি যে ধরনের হোক না কেন তা প্রয়োজন মত হোস্টেড থেকে নন-হোস্টেড অ্যাকাউন্ট এ পরিবর্তন করা বা নন-হোস্টেড থেকে হোস্টেড অ্যাকাউন্ট করা যাবে।
তাই আপনার একটা অ্যাকাউন্ট হাজার অ্যাকাউন্ট এর সমান অতএব, আপনি কখনো একের অধিক অ্যাকাউন্ট নিজের নামে করার চেষ্টা করবেন না যদি করেন তা হলে ধরা পরলে আপনার সব অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে।
আপনি কি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে চান?
তাহলে আগে অনলাইনে আয়ের গাইডলাইন সম্পর্কে একটু জেনেনিন এথানে ক্লিক করুন
আর আপনাদের যদি কিছু জানার থাকে বা প্রশ্ন থাকে তাহলে আমাকে কমেন্ট করে বলতে পারেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি এতো সুন্দর ভাবে কম সময়ে বুঝিয়ে বলার জন্য।
ধন্যবাদ…।
আপনার কাছে আশা করছি ভবিষৎতে গুগলে এডসেন্স সম্পর্কে আমাদের আরো বিস্তারিত আর্টিকেল দিবেন।
ধন্যবাদ। আমাদের সাখে থাকুন।
খুব ভাল লাগল।
ধন্যবাদ