সূচীপত্র
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার বলতে আমরা সেই ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রকে বুঝি যার মাধ্যমে খুব দ্রুত গতিতে গণনা করা যায়। Computer শব্দটি Computing শব্দ থেকে এসেছে অর্থ গণনাকারী। কারণ কম্পিউটার যখন প্রথম আবিষ্কার করা হয় তখন কম্পিউটার দ্বারা গণনা করা হতো। তবে তখনকার কম্পিউটার আর এখনকার কম্পিউটারের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। প্রতিটা ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্র যখন প্রথম আবিষ্কার করা হয়েছিল তখন সে যন্ত্রটি ছিল অনেক নগণ্য তাই বলে তার মূল্য কম নয়, কারণ সেটা থেকে বর্তমানের উন্নত প্রযুক্তির আবিষ্কার করা হয়েছে। চালস্ ব্যাবেজের হাতে প্রথম আবিষ্কৃত গণক যন্ত্রটি বর্তমানের আধুনিক কম্পিউটার। আজ কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম নিয়ে আলোচনা করব।
কম্পিউটরের প্রকার সমূহ:
কম্পিউটার কে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা-
- Micro Computer (মাইক্রো কম্পিউটার)
- Min/Midrange Computer (মিনি/ মিডরেন্স কম্পিউটার)
- Mainframe/ Super Computer (মেইন ফ্রেম / সুপার কম্পিউটার)
- Super Computer (সুপার কম্পিউটার)
বর্তমানে প্রযুক্তির দিক থেকে Micro Computer (মাইক্রো কম্পিউটার) কম্পিউটার কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে যথা-
- Analog Computer (এনালগ কম্পিউটার)
- Digital Computer (ডিজিটাল কম্পিউটার)
- Hybrid Computer (হাইব্রিড কম্পিউটার)
আমরা যে কম্পিউটার ব্যবহার করি সেটা হলো ডিজিটাল কম্পিউটার । ডিজিটাল কম্পিউটারকে সংক্ষেপে PC বা Personal Computer বলে থাকি। প্রতিটি কম্পিউটারের দুইটি বিভাগ থাকে।
১। ইনপুট: ইনপুট হলো আমরা কম্পিউটারের মধ্যে যে ডাটা প্রবেশ করায় বা দিয়ে থাকি বা যার মাধ্যমে সিগন্যাল দিয়ে থাকি সেগুলোকে ইনপুট বলে। যেমন- কিবোর্ড, মাউস, মাইক্রোফোন স্ক্যানার, ক্যামেরা, প্রেন ড্রাইভ, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি।
২। আউটপুট: ইনপুট দেওয়ার পর আউট-পুটে যে ডাটা বা তথ্য পেয়ে থাকি। যেমন- কিবোর্ডে কিছু টাইপ করে আউটপুট প্রিন্টারের মাধ্যমে ডকুমেন্ট বের করা যায়। আউট-পুট ডিভাইস হলো- মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার ইত্যাদি।
কম্পিউটারের প্রোগ্রাম বা সফট্ওয়্যার কি?
কম্পিউটারের প্রোগ্রাম হলো যেগুলোর মাধ্যমে আমরা কম্পিউটারে কাজ করে থাকি। এই প্রোগ্রাম গুলো সফট্ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারা ডিজাইন করে থাকে, প্রতিটি প্রোগ্রাম কে এমন ভাবে সাজানো থাকে মানুষ কি কমান্ড দিলে কি কাজ করবে তা প্রতিটি প্রোগ্রামে আগে থেকে উল্লেখ করা থাকে। প্রোগ্রাম সফট্ওয়্যার গুলোর মধ্যে সাড়া জাগানো কিছু প্রোগ্রাম হলো- মাইক্রোসফ্ট অফিস, এডোবি সিরিজ ফটোশপ-ইলেস্টেটর গ্রাফিক্স, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি প্রোগ্রাম সফট্ওয়্যার।
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বেসিক ধারণা- কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম :
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে বলতে বোঝায় কম্পিউটারের সকল যন্ত্র এবং সফট্ওয়্যার বলতে কম্পিউটারের প্রোগ্রাম কে বুঝি তবে হার্ডওয়্যার সফট্ওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার পরিপূর্ণ হয় না। তাহলে চলুন এবার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের নাম জেনে ফেলি।
মাদারবোর্ড (Mother Board) :
কম্পিউটারের মাদার বোর্ড হলো কম্পিউটারের প্রধান অংশ। একটি পরিবারের প্রধান দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তি হচ্ছে যেমন মা, তেমনী কম্পিউটারের প্রধান ডিভাইস হলো মাদার বোর্ড। এজন্য তাকে কম্পিউটারের মা বলা হয়। যেটার সাথে কম্পিউটারের সকল ডিভাইস যুক্ত থেকে কাজ করতে পারে।
চিত্র: মাদারবোর্ড (Mother Board)
পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply) :
পাওয়ার সাপ্লাইয়ের কাজ হলো কম্পিউটারের প্রতিটা ডিভাসই কে সক্রিয় রাখা। SMPS পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারের বিভিন্ন কম্পোনোমেন্ট অনুযায়ী বিভিন্ন ভোল্ট আউটপুট দিয়ে থাকে যেমন-3.3 হতে 12 ভোল্ট পর্যন্ত। যেটার সাথে বিভিন্ন ভোল্টের পাওয়ার আউটপুট তার থাকে।
চিত্র: পাওয়ার সাপ্লাই (Power Supply)
প্রসেসর/সিপিইউ (Processor, CPU= Control Processing Unit):
প্রসেসর হলো মাদার বোর্ডের মিডিলে থাকে যেটার কাজ হচ্ছে যেকোন ডাটা কে প্রসেস করা বা প্রক্রিয়াজাত করা মানে কাজের উপযোগী করা। মনে করুন আপনি কিছু একটা কাজ করবেন সেটা করার জন্য আপনাকে আগে কি করতে হবে মাথায় চিন্ত্রা করে প্লান করতে হবে। প্রসেসরকে কমেন্ট দিলে এই কাজটি করতে পারে। সুতরাং সিপিইউ হলো কম্পিউটারের মস্তিস্ক। বাজারে বিভিন্ন ধরণের প্রসেসর পাওয়া যায় যেমন- Pentium, Dual Core, Core i3-i7 up to date ইত্যাদি বিভিন্ন জেনারেশন।
চিত্র: প্রসেসর/সিপিইউ (Processor, CPU= Control Processing Unit)
র্যাম (RAM- Random Access Memory):
র্যাম হচ্ছে কম্পিউটারের ভাসমান মেমোরি । আপনি কম্পিউটারের প্রোগ্রাম রান বা চালু করলে প্রথমে র্যামে লোড হয়। তার পর সেটা প্রসেস করে প্রসেসর তার পর সেভ সেটা সংরক্ষন করলে হার্ড ডিস্কে থাকে। কম্পিউটার বন্ধ করে দিলে র্যামের সব ডাটা মুছে যায়। মাদার বোর্ডে র্যাম লাগনোর জন্য একাধিক স্লট থাকে। কারণ র্যামের উপর কম্পিউটার পার্ফম করে।
চিত্র: র্যাম (RAM- Random Access Memory)
হার্ডডিস্ক (Hard Disk):
হার্ড ডিস্ক হলো কম্পিউটারের সংরক্ষনাগার যেখানে কম্পিউটারে সকল ডাটা সংরক্ষন করা যায়। পুনারায় তা প্রয়োজন মত এডিট করা যায়। বর্তমানে বাজার 1TB- to Up to date Hard Disk পাওয়া যাচ্ছে। Hard Disk আপনার প্রয়োজন মত কিনতে পারেন। Hard Disk বিভিন্ন কোম্পানির হয়ে থাকে।
চিত্র: হার্ডডিস্ক (Hard Disk)
ডিভিডি রাইটার (DVD Writer):
ডিভিডি রাইটারের কাজ হলো কোন ডকুমেন্ট কপি করে হার্ড ডিস্কে সংরক্ষন করা। আবার হার্ড ডিস্কে থেকে তা পুনরায় সিডিতে রাইট করা যায়। এছাড়া সফ্টওয়্যার দিতে, সিডি কপি করতে, উইন্ডোস দিতে ইত্যাদি নানা কাজে ব্যবহার করা হয়।
চিত্র: ডিভিডি রাইটার (DVD Writer)
কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ কি বোর্ড মাউস, মনিটর ইত্যাদি যেগুলো ধরা যায় বা ছোয়া যায় সেগুলো হার্ডওয়্যার, মনিটরের সাহায্য আমরা সব প্রোগ্রাম দেখতে পাই মনিটরিং করতে পারি। কারণ মনিটর না হলে কোন কিছু করা সম্ভব নয় এজন্য মনিটরকে কম্পিউটরের গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার বলা যায়। কিবোর্ড, মাউস ইত্যাদি হার্ডওয়্যার।
চিত্র: মনিটর (Monitor)
কম্পিউটার সম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকলে আমাকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। কম্পিউটারের প্রতিটা বিষয় সম্পর্কে জানতে কম্পিউটার ক্যাটাগরিতে সার্চ করুন। আপনার সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।
অনেক ভালো হয়েছে এবার কম্পিউটারের উইন্ডোজ এবং সফ্টওয়ার নিয়ে একটা পোস্ট দেন প্লিজ
সাথে থাকুন প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পোস্ট দেওয়া হচ্ছে
good job …. খুবই ভালো পোস্টটি
Thank You
ভাই অনেক ভালো লাগে আপনার পোষ্ট। আমি একটি নতুন কম্পিউটার ২৫,০০০ /=টাকার মধ্যে তো কি সাইজ কি কি দিয়ে বানাবো? যদি একটা চার্ট করে দিতেন। মানে আমি কম্পিউটার বানাবো তো যাতে ভালো মানের হয় সেই চার্ট দিবেন। মনিটর সহ কিন্তু, তবে আমি গ্র্রাপিক্স ডিজাইনের কাজ করি ভাই।
ধন্যবাদ, আচ্ছা আমি ভালো কনফিগারেন পিসি কিভাবে তৈরী করবেন তা নিয়ে একটা পোস্ট দিবো।
ভাই আপনি ভিডিও করেন না।
ধন্যবাদ, আমার একটা চ্যানেল আছে তবে সেখানে ভিডিও দেওয়া হয়না। তবে আগামিতে ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করবো যদি আপনাদের অনেক কমেন্ট পাই।
ভাই আমাকে টুলস বক্স এর নাম গুলো যদি চার্ট করে দিতেন।
ধন্যবাদ, আমি টুলবক্স গুলো নিয়ে কয়েকটা আর্টিকেল দিয়েছি একটু মেনু আইটেম দেখুন। প্রয়োজনীয় আরো বাকী গুলো দেওয়া হবে তাই সাথেই থাকুন।
আমি আপনার নতুন টিপস কিভাবে পাবো।যদি বলতেন।
ধন্যবাদ, নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন তাহলে নতুন নতুন তথ্য পাবেন।
অনেক তথ্যবহুল লেখা। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।আমি নিজেও এই ধরণে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করছি ।
ধন্যবাদ
মোটামুটি শেখার জন্য অনেক কিচু পেলাম
ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর এবং তথ্যবহুল একটি আর্টিকেল, পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আর্টিকেল লেখার জন্য।
ধন্যবাদ